গত কয়েক দিনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় প্রকাশ্য গুলি চালিয়ে হত্যা, তিন-চার দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুন দেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই সহিংসতা সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
১৩ তারিখে একটি গুপ্ত স্থান থেকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে সাধারণ জনগণ আতঙ্কিত এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যাপকভাবে মোতায়েন করেছে, যাতে কেউ রাস্তায় নামে না। এর ফলে সাধারণ মানুষ চলাচল সীমিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
অন্যদিকে, বিএনপি, জামায়াতসহ প্রায় ১০–১২টি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম প্রতিহত করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার এ দ্বৈত পরিস্থিতি দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতা দ্রুত কৌশলগত শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে তা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব। এ পরিস্থিতিতে জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং সব রাজনৈতিক পক্ষকে সংযম ও শান্তিপূর্ণ আচরণের আহ্বান জানানো হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক দিক থেকে একটি সংকট সংকেত হিসেবে ধরা হচ্ছে।