
আওয়ামী রেজিমের কাজ ছিল দেশ থেকে ইসলামি চেতনা দূর করা এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, সেজন্য তারা শাহাবাগীদের তৈরি করেছিল। একদিকে নাস্তিক শাহাবাগী অন্য দিকে ইমানি শাপলা চত্বর। শাহাবাগের নাস্তিকদের এদেশের রাজনীতিতে যদি পুনর্বাসন করা হয় বা সহযোগিতা করা হয়, তাহলে প্রয়োজন হলে আমরা রক্ত দিয়ে হলেও তা থামিয়ে দেব। এদেশে শাহাবাগী নাস্তিকদের কোন পুনর্বাসন হবে না। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মামুনুল হক বলেন, ৭১ এর চেতনাকে ৭২ এর চেতনা দিয়ে হাইজাক করা হয়েছিল। ৭০ সালে শেখ মুজিব যে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র করার শপথ নিয়েছিল, ৭২ এর সংবিধান করার মধ্য সেই শপথ তিনি ভঙ্গ করেছেন। আমরা বৈষম্যহীন সমাজ দেখতে চাই এমন মন্তব্য করে মামুনুল হক বলেন, আমরা শাসনের নামে স্বৈরাচারী দেখতে চাই না। গণ মানুষের আকাঙ্খাকে কোন ফ্যাসিবাদের গুলি থামিয়ে রাখতে পারে না। আমরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের থেকে অনুপ্রেরণা নিতে চাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল দেশের মানুষের বিভাজন তৈরি করার। তারা ট্যাগ দিয়ে মানুষকে বিভক্ত করেছে। জুলাইয়ে আন্দোলন চলাকালীন শেখ হাসিনা যখনই রাজাকারের বাচ্চা বলে ট্যাগ দিয়েছিল, তারপর থেকে তার দিন গোনা শুরু হয়েছিল।
আওয়ামী রেজিমের কাজ ছিল দেশ থেকে ইসলামি চেতনা দূর করা এমন মন্তব্য করে মামুনুল হক বলেন, সেজন্য তারা শাহাবাগীদের তৈরি করেছিল। একদিকে নাস্তিক শাহাবাগী, অন্যদিকে ইমানি শাপলা চত্বর। শাহাবাগের নাস্তিকদের এদেশের রাজনীতিতে যদি পুনর্বাসন করা হয় বা সহযোগিতা করা হয়, তাহলে প্রয়োজন হলে আমরা রক্ত দিয়ে হলেও তা থামিয়ে দেব। এদেশে শাহাবাগী নাস্তিকদের কোন পুনর্বাসন হবে না।
মামুনুল হক বলেন, টঙ্গীতে যারা হামলা চালিয়েছে তারা কোন তাবলীগের সাথী না। তারা ভিনদেশী (ভারত) শক্তির ছায়া ছিল। তারা এদেশ থেকে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উদ্দ্যেশ্যে মামুনুল হক বলেন, সরকারকে বলতে চাই আপনাদের হাতে কম সময়। এই সময়ের মধ্যে কাজ গুলো শেষ করেন। আমাদের একটাই কথা, যত সংস্কারই করেন না কেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের রাষ্ট্র বাংলাদেশে যাতে কোন ইসলাম বিরোধী আইন তৈরি না হয়। আমাদের লক্ষ্য এদেশে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্টা করা।
তিনি বলেন, এদেশে এখন দুই ভাগে বিভক্তূ। এক ভাগ দেশপ্রেমিক আরেক ভাগ ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাওয়ারা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী।