ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫,
সময়: ১০:০৩:৪৩ PM

হাসিনা ও তার দোসররা এখনও সক্রিয়: দুদু

স্টাফ রিপোটার।।দৈনিক সমবাংলা
03-09-2025 05:39:56 PM
হাসিনা ও তার দোসররা এখনও সক্রিয়: দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতে পালিয়ে গেলেও নুর ও লুৎফরের উপর হামলা এটাই প্রমাণ করে যে হাসিনা ও তার দোসররা এখনো সক্রিয়।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আওয়ামী দোসররা ভিপি নুর ও লুৎফর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপর প্রকাশ্য, গুপ্ত হামলার মাধ্যমে হত্যা প্রচেষ্টা এবং সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে স্বাভাবিকভাবে মানুষ মনে করেছিল দেশ স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা পালিয়েছে, এখন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশ স্থিতিশীল হবে। মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে, চলাফেরা করতে পারবে। কিন্তু এক বছরের ভিতরেই যে পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা হয়েছি তা মর্মান্তিক।।

গণধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ও জাগপার সভাপতি লুৎফর রহমানের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। তাদের ওপর হামলার সাথে যারা জড়িত তারা যত বড় ক্ষমতার অধিকারী হোক না তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। এ হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবে আর যারা ২৪ গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়েছে, মামলা খেয়েছে, জেল খেটেছে তারা বিপদগ্রস্ত হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৬ বছর ধরে মানুষের ওপর জুলুম করেছে, লুটপাট করেছে। আর জাতীয় পার্টি তার সমর্থন দিয়ে গেছে। ১৪ দল এখন পর্দার অন্তরালে চলে গেছে। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু নূর এবং লুৎফরের উপর হামলার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হল যে হাসিনা এবং তার দোসররা এখনো সক্রিয়।

ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে উৎসাহ দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দেশে যেভাবে লুটপাট করেছে, গুম-হত্যা করেছে, গত ৫৪ বছরেও এরকম আর কেউ করেনি। আর সেই খুনি গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। শুধু শেখ হাসিনাকেই নয়, হাজার হাজার লুটপাটকারীদেরকেও আশ্রয় দিয়েছে ভারত। এই ভারত বন্ধুর নামে আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। আমাদেরকে বিপদে রাখতে চায়। যেমন যখন বাংলাদেশে পানি দরকার তখন তারা দেয় না। আর যখন দরকার নেই তখন তারা বাঁধ খুলে দেয়।

ভারতের উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা ভারতের ধ্বংস চাই না। বন্ধ সুলভ আচরণ চাই। আপনারা গণহত্যাকারী, লুন্ঠনকারীদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। আবার বাংলাদেশের বন্ধুত্বও দাবি করছেন। একসাথে তো দুইটা যায় না। হয় বন্ধুত্বের ভূমিকা না হলে শত্রুর ভূমিকা পালন করবেন। শত্রুর ভূমিকা পালন করলেও বাংলাদেশের কিছু যায় আসে না। কারণ বাংলাদেশ গত এক বছরে দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে নিজের পায়ে  দাঁড়াতে হয়।

এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশে যাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয়, এজন্য ষড়যন্ত্র চলছে। ভালো নির্বাচন যাতে না হয়, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল ক্ষমতায় যেন না আসে, আমাদের নেতা তারেক রহমান যাতে প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন। নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। সেই জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক এমপি জুতি, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরসহ প্রমুখ।