ঢাকা, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫,
সময়: ০৯:৫৯:২২ PM

হুমকি নয়,জনগণের মুখোমুখি হোন:তারেক রহমান

ষ্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
12-11-2025 08:05:43 PM
হুমকি নয়,জনগণের মুখোমুখি হোন:তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান দুর্বল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুমকি ও ধামকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।সভায় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

তারেক রহমান বলেন, “জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত ও তাদের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ যখন তৈরি হচ্ছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। আমি তাদের প্রতি আহ্বান জানাই— হুমকি বা ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণের মুখোমুখি হোন।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের মনে রাখা দরকার, রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থক কর্মীদের বাইরেও বিপুলসংখ্যক অরাজনৈতিক বা নির্দলীয় জনগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের মতামতই আসলে রাষ্ট্রের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করে।”

বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, “কিছু রাজনৈতিক দল নানা শর্ত আরোপ করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। এর মাধ্যমে তারা একদিকে নির্বাচন না করেই রাষ্ট্রযন্ত্রে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নিচ্ছে, অন্যদিকে পতিত, পরাজিত ও পলাতক স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথ সুগম করছে।”

তিনি বলেন, “সম্প্রতি রাজধানীতে পলাতক স্বৈরাচারীর সহযোগীরা যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে, তা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির জন্য একটি সতর্কবার্তা। এখন সময় এসেছে সকল গণতন্ত্রকামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।”

তারেক রহমান আরও বলেন, “এখন সবার কাছেই স্পষ্ট— ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের একটি দল একসময় নিজেদের রক্ষা করতে ফ্যাসিবাদের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পতিত, পরাজিত ও পলাতক স্বৈরাচার একইভাবে সেই দলটির ছাতার নিচে আশ্রয় নিয়েছে কিনা, তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।”