ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নববধুকে দেখতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতার উপর হামলা করেছে যুবলীগের নেতা কর্মীরা। এতে মারাত্মক আহত ছাত্রদল নেতা ফিরোজ মোল্যা একটি চোখের দৃষ্টি হারাতে বসেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামে। ফিরোজ মোল্যা দাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসম্পাদক। এ ঘটনায় মো. ফিরোজ মোল্যা (২৬) বাদি হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ পূর্বক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মো. ওহিদ মোল্লার বিয়ে উপলক্ষে ফিরোজ মোল্যার মা ও ভাবি শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নববধূকে দেখতে যান। বাড়ির উপরে গেলে ফিরোজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য তার মা ভাবিকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে তারা বিষয়টি ফিরোজকে জানালে তিনি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাটি জানতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে । একপর্যায়ে ওহিদ মোল্যা, জাহিদ মোল্যাসহ অপর অভিযুক্তরা রামদা, লোহার শাবল, হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠি নিয়ে ফিরোজের উপর আক্রমণ করে। তাদের দেশীয় অস্ত্রের আগাতে মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই ছাত্রদল নেতা। এ সময় ফিরোজের চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। ফিরোজের আত্মচিৎকারে চাচাতো ভাই মো. আবুল বাশার, মা ও ভাবি এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা চালায় অভিযুক্তগণ, ফিরোজ মোল্যা জানান, আমাকে বাঁচাতে আমার চাচাতো ভাই এগিয়ে এলে ওহিদ মোল্যা তাকে রামদা দিয়ে আঘাত করে এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। একই সময় ফিরোজের মা ও ভাবিকেও মারধর করে ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও পরিহিত স্বর্ণাংকার ছিনিয়ে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা। পরে স্থানীয়রা ফিরোজ ও তার চাচাতো ভাইসহ আহতদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে, জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন- একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।