নরসিংদীতে ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে উঁচু ভবন থেকে নামতে গিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক লোকজন আহত এবং পাঁচজন নিহত হয়েছেন।শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন।ডিসির দেওয়া তথ্যানুসারে, সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি নামক স্থানে নির্মাণাধীন ভবনের মালামালের নিচে পড়ে চারজন আহত হয়। তাদের মধ্যে মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসক শিশু হাফেজ ওমরকে (৮ বছর) মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বলেরও মৃত্যু হয়। ডিসির দেওয়া তথ্যানুসারে আরও জানা যায়, পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূইয়া (৭৫) নামে একজন বৃদ্ধ মাটির ঘরের নিচে চাপা পড়েন এবং পরবর্তীতে তাকে জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু। এছাড়া একই উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন (৬০) ভূমিকম্পের সময় ফসলি জমি থেকে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে আসার পথে রাস্তা থেকে নিচে লাফ দিয়ে পড়ে মারা যান।
অপরদিকে, শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের গআজকিতলা (পূর্বপাড়া) গ্রামের ফোরকান ( ৪০) ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে যান। তাৎক্ষণিক তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়
ক্ষয়ক্ষতি: ১) ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পাঠানোর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই সাবস্টেশনের বিপুল পরিমাণ পিটি (প্রডাকশন ট্রান্সফরমার) ভূ-কম্পনের ফলে ভেঙে পড়ে।
২) ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার কারখানার ইউরিয়া প্রডাকশন ভূমিকম্পনজনিত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। ভূ-কম্পনের সময় ইঞ্জিন মেশিনারিজ ভাইব্রেশনের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যায় এবং মেশিনারিজ চেকিং অপারেশনে আছে।
৩) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউজসহ শতাধিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।