
রাজধানীর বিজয়নগরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ১৮ দিন পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা উন্নতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে তিনি হাসপাতাল ছেড়েছেন। ঢামেক পরিচালক বলেন, ঘটনার দিনই তাকে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি ভিত্তিতে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়। সারা রাত ধরে চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা চালিয়ে যান। পরে তাকে ঢামেকের পুরাতন ভবনের চতুর্থ তলার নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় এবং তাদের তত্ত্বাবধানে নুরুল হক নুরের চিকিৎসা চলতে থাকে। আজ (সোমবার) ভিআইপি কেবিন থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগ করে। লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
গুরুতর আহত হওয়ায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
নুরুল হক নুরকে মারধরের ঘটনাটি দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। বিএনপি-জামায়াতসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল এ ঘটনায় নিন্দা জানায়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা তার চিকিৎসার খোঁজ নেন। প্রধান উপদেষ্টা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয়েছে।