
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত মানবিক বাংলাদেশে পরিণত জন্য নিরলস ও আপোষহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ বাদ জোহর রাজধানীর কাফরুলের বাইশটেকির রাহাত হোসাইন হাফিজি মাদ্রাসা ও ইয়াতিম খানায় কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সুস্থতা কামনায় এক দোয়া ও ইয়াতিমদের মাঝে খাদ্য পরিবেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। বক্তব্য রাখেন মাদানী কমপ্লেক্সের সহ-সভাপতি শাহজাহান,থানা নায়েবে আমীর মো.আলাউদ্দীন,জামায়াত নেতা মাওলানা শহিদুল্লাহ মাদানী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমীরে জামায়াতের আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ূ কামনা দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদানী কমপ্লেক্সের মুহতামিম মাওলানা আবুল কালাম।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী মানুষের মুক্তির জন্য বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং তৎক্ষণাৎ ওঠে পড়েন। আবার পড়ে যান; আবার ওঠে বসে থেকেই দেশ ও জাতির জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। মূলত, দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা এবং মানুষের ভালবাসা আমীরে জামায়াতকে গণমানুষের নয়নমণিতে পরিণত করেছে। তিনি স্বাধীনতা পররবর্তী সরকারগুলোর ব্যর্থতা প্রসঙ্গে বলেন, বিগত ৫৪ বছরে শাসক গোষ্ঠী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন না করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে নিয়েছে। তারা দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে জাতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে আমাদের দেশের একজন শিশু ৭৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করছে। আমীরে জামায়াত ঘোষণা করেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নির্বাচিত এমপিরা সরকারি প্লট, শুল্কমুক্ত গাড়ী-বাড়ী নেবেন না। জামায়াত দুর্নীতি করবে না; দুর্নীতিকে প্রশ্রয়ও দেবে না। তিনি দেশে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের লোক পরিশ্রমী। দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন। অথচ তারাই এখন অধিকার বঞ্চিত ও নিগৃহীত। অথচ মুষ্টিমেয় কিছু লোক দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশে অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। বিগত সরকারের আমলে অনেক স্কুল- কলেজ জাতীয়করণ করা হলেও কোন মাদরাসা বা মক্তব্য সরকারিকরণ করা হয়েছে। ফলে জাতির বিবেক শিক্ষক সমাজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জনগণের ভোট নিয়ে জামায়াত সরকার গঠন করতে পারলে রাষ্ট্র থেকে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে। তিনি সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।