
জামায়াতসহ কয়েকটি দলের বিক্ষোভ মিছিলের প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি মনে করি এটার (কর্মসূচির) কোনো প্রয়োজন ছিল না। আলোচনা এখনো শেষ হয়নি। আলোচনা চলমান অবস্থায় এ ধরনের কর্মসূচির অর্থ হচ্ছে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা। যা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও শুভ নয়।’বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।রাজপথে কর্মসূচি দিলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে নাকি—প্রশ্ন রাখেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতনের পর কোনো ইস্যুতে আমরা রাজপথে আসিনি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু সমাধান করতে চাইছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়নও আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে বলে আশা করি। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি পিআরের পক্ষে নয়। বাংলাদেশে পিআরের প্রয়োজনীয়তা নেই। জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেক বিষয়ে বিএনপি একমত হয়েছে। সেগুলো সামনে আনলেই হয়। একটি বিষয় পরিষ্কার—যেটাই করা হোক জনগণের সমর্থন বড় প্রয়োজন। জনগণের সমর্থনে নির্বাচনের মাধ্যমে যে পার্লামেন্ট আসে, সেই পার্লামেন্ট সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে, সংশোধনী আনতে পারে। সেখানেই সেটা সম্ভব।১৪ দল ও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে বিএনপি নয়।
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন, সেখানে আপনাদের ভূমিকা কী হবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না সেখানে আমাদের ভূমিকা কী হবে। কারণ ড. ইউনূসের সঙ্গে এ বিষয়ে এখনো কথা হয়নি। কথা হলে হয়তো জানতে পারবো। আমার মনে হয় দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের বিষয়টিই প্রধান্য পাবে। একই সঙ্গে দেশের উন্নয়ন বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।’
দেশের অনেক সিদ্ধান্ত বিদেশে হয়—এবারও তেমন হবে কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এমনটা আমি মনে করি না। আমাদের দেশের সিদ্ধান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদেরই নিতে হবে। সব সময় বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নিয়েছি। এখনো নেবো। সুতরাং বাইরের (বিদেশের) সিদ্ধান্তের কোনো প্রয়োজন নেই।’