ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫,
সময়: ১২:৩৭:১৪ AM

হাসিনার প্রভাব আবারও ভর করেছে:রিজভী

ষ্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
16-08-2025 05:05:53 PM
হাসিনার প্রভাব আবারও ভর করেছে:রিজভী

দেশে এক চেতনার বদলে নতুন আরেক চেতনার উদ্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার প্রভাব যেন আবারও নতুনভাবে দেশের ওপর ভর করেছে।’শনিবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।রিজভী বলেন, ‘আজকে আমরা যেখানেই যাই—শুনি একটি সংগঠনের লোক সেখানে বসে আছে। তারা বলছে, এইটা একটি বিশেষ দলের লোক। ওরা ডিসিগিরি করছে না ওখানে, তারা তাদের সংগঠনের কাজ করছে। এমনও শুনেছি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যিনি ডিজি, তিনি তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলেছেন—তোমরা রুকন না হলে তোমাদের চাকরি থাকবে না।’তিনি বলেন, ‘এই জন্য কী আহনাফ, মুগ্ধ, আবু সাঈদ, ওয়াসিম জীবন দিয়েছে? একটি রাজনৈতিক চেতনার রঙে আমাদের প্রশাসন থাকবে? শেখ হাসিনা যে চেতনা তৈরি করেছিলেন, সেই পাতানো চেতনার জন্যই কী এত রক্তপাত, এত হানাহানি? শেখ হাসিনার অপশাসনের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই বলতো—একে ধরো, এদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দাও। আবার নতুন করে আমরা দেখছি ধর্মের চেতনা, রুকন না হলে চাকরি করতে পারবে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অনেকেই উপদেষ্টার পদ পেয়েছেন, অনেকেই ভালো আছেন। তাহলে কী আবার নতুন করে নতুন আঙ্গিকে শেখ হাসিনার অপশাসন, দুঃশাসন, চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাস, টাকা লুট, চাঁদাবাজি ও ভর্তি বাণিজ্য—পুনরাবৃত্তি মানুষ দেখতে চায়? এই জন্য কী প্রায় দেড় হাজারের মতো শিশু-কিশোর, তরুণ, শ্রমিক, রিকশাওয়ালা জীবন দিয়েছে? এই উপলব্ধি তো সবার হওয়া উচিত।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এখনও তো নির্বাচন হয়নি। কে ক্ষমতায় যাবে, জনগণ কাকে ভোট দেবে—এটা তো এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। তাহলে এই কথাগুলো এখনই কেন আসছে? এগুলো কেন আমাদের শুনতে হচ্ছে? সরকারি দফতর থেকে অনেকেই আসছে, তারা বলছেন আমরা কী করবো ভাই? আমরা যদি ওই দলের সদস্য রুকন না হই, আমরা তো চাকরি করতে পারবো না। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার ভূত, তার আত্মারা আবার নতুন করে, নতুন কায়দায়, নতুন চেতনায় ভর করেছে। এটার জন্য তো এই ছেলেরা জীবন দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সেই গণতন্ত্র চেয়েছি, যে গণতন্ত্রে এই দেশের ভোটাররা ভোট দিয়ে যাকে ইচ্ছা তাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবে। এই জন্যই আমাদের এত লড়াই, সংগ্রাম ও ত্যাগ। এই জন্যই স্কুল, কলেজের ছেলেরা এত রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। এখানে এক চেতনাধারী বিদায় নিয়ে আরেক চেতনাধারী ক্ষমতার মধ্যে বসবে—এটা তো জনগণ প্রত্যাশা করে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বড় বড় ইউনিভার্সিটিতে সেই চেতনাধারীরা। তাদের লোক ছাড়া কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারবে না, কোনও চাকরি হবে না। আবার সেই এক মাত্রিক দেশ গড়ার প্রচেষ্টা চলছে, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের জন্য তো দীর্ঘ ১৬ বছর বেগম খালেদা জিয়া লড়াই করেননি। এই জন্য গোটা দেশকে সংগঠিত করেননি তারেক রহমান।’