
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ১৭ বছর বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার দরকার। ১৭ বছর এদেশের মানুষকে নির্বাচনের বাহিরে রেখেছিলো আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচনের কথা বললে ইদানীং কারো কারো মনে কষ্ট লাগে। তাদেরকে সহানুভূতি জানায়। সোমবার (২ জুন) রাজধানীর স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে যাত্রাবাড়ী থানা জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী দল। এসময় তিনি বলেন, বর্তমানে এই দেশে বিএনপি'র পরে বড় দল হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সেই জামায়াত বিএনপির সঙ্গ ছাড়া অতীতে তিন থেকে চারটা সিটও পায় নাই। আন্দোলন করার কারণে এখন না হয় ডাবল হবে পাঁচটা থেকে ছয়টা। বিএনপিও আন্দোলন করেছে, তাহলে বিএনপিও ডাবল সিট পাবে। তাহলে তাদের জন্য সিটই তো থাকে না। যারা নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তারা নিজেদের মান-সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এদেশে নির্বাচন হবে। কারণ এদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে, অধিকার পাওয়ার জন্য। একটা স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য। তারা ভোটের প্রয়োগ করে তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে। পছন্দ মতো দলকে নিয়ে সরকার গঠন করবে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এদেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিএনপি'র ১৭ বছরে সাড়ে ৫ হাজার নেতাকর্মী গুম ও শহীদ হয়েছে। এতো কর্মী অন্য দলে আছে কিনা সন্দেহ। আর থাকলেও এতো শহীদ হয় নাই। তবে যে দলেরই নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে; তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই। আল্লাহ যেন তাদের জান্নাতবাসী করেন।
শহীদ জিয়াউর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন, রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশটাকে স্বাধীন করেছেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশের হাল ধরেছেন। দেশের সংস্কার করেছেন। দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করে বিদেশে তা রপ্তানির ব্যবস্থা করেছে। কৃষি খাতে উন্নয়ন করেছেন। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করেছেন। তার নিজস্ব কোনো গাড়ি-বাড়ি ছিল না। আজ পর্যন্ত তার নামে বিন্দু পরিমাণ কেউ দুর্নীতির অভিযোগ করতে পারবে না। তিনি ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের সাড়ে তিন বছরের শাসন আমলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছিল। অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল। বাকশাল কায়েম করে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। আর শেখ হাসিনা এদেশে গণতন্ত্র-নির্বাচন ধ্বংস করে গণহত্যা চালিয়েছে; তার বিচার এদেশের মাটিতেই হবে।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানা জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী দলের সভাপতি মোহাম্মদ আলী শেখ, সাধারণ সম্পাদক বকুল, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন সহ প্রমুখ।