দুপুরের সূর্য হালকা আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।
নীলা আর রবি শহরের ছোট্ট কফি শপের বারান্দায় বসেছে।
চায়ের কাপ হাতে, বাতাসে ঠান্ডা ছোঁয়া।
কেউ কিছু বলছে না, কিন্তু বোঝাপড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে।
একটা অদৃশ্য নীরবতা, যা প্রথম দেখা থেকেই গড়ে উঠেছে, আজ আরও গভীর।
নীলা চুপচাপ খুঁজছে শব্দের বাইরে বোঝার জায়গা।
রবি তার চোখে তাকিয়ে কিছুই বলছে না।
কিন্তু চোখের খেলা, অল্প হেসে ওঠা, হালকা দুলন্ত হাত—সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে।
তাদের ভালোবাসা এক ধরনের নিঃশব্দ ভাষা, যা ছোঁয়া ছাড়াই স্পর্শ করে।
—“তুমি কখনো চাও না আমাকে ছুঁতে?”
নীলা হঠাৎ বলল।
রবি কিছুক্ষণ চোখে তাকাল, তারপর ধীরে উত্তর দিল—
—“চাই। কিন্তু চাওয়াটাই সুন্দর। যদি ছুঁয়ে নিই, মুহূর্তের সৌন্দর্য চলে যাবে।”
নীলা দীর্ঘক্ষণ চুপ করে ছিল।
হাত ছুঁয়ে না, কেবল চোখে চোখে বোঝাপড়া।
শেষে সে হেসে মাথা নেড়ে বোঝালো—
—“হ্যাঁ, সত্যি। ছোঁয়া না করেও অনুভূতি এত গভীর হতে পারে।”
চায়ের কাপ তাদের হাতের মধ্যে।
নীলা আর রবি চুপচাপ কথা বলছে না, তবু বোঝাপড়া চূড়ান্ত।
আড্ডা কিন্তু সাধারণ নয়।
শব্দহীন সংযোগ, চোখের খেলা, নিঃশব্দ হাসি—সব মিলিয়ে গভীরতা।
শহরের ছোট্ট রাস্তা, দূরের ট্রাফিকের শব্দ, পাখির ডাক—সব মিলিয়ে নীরবতার আবরণ।
রবি হঠাৎ বলে,
—“যখন কিছু চাই না, হৃদয় আরও নিখুঁতভাবে বোঝে।”
নীলা চোখে হাসি, মাথা নেড়ে বোঝালো—“হ্যাঁ, দূরত্বেই সব সুন্দর।”
তাদের হাত বাড়ালে ছোঁয়া যেত।
কিন্তু তারা দেয়নি।
দূরত্বের নিয়ম, স্পর্শ না করার শিক্ষা, নীরবতার সৌন্দর্য—সব মিলিয়ে সম্পর্ককে অটুট রেখেছে।
বন্ধুরা মাঝে মাঝে বিভ্রান্ত হয়—
—“এত ভালোবাসা, তবু এত দূরে?”
কেউ কখনো বলে—“তুমি সাহসী নও।”
নীলা হেসে চুপ থাকে, রবি চোখে ধীরে তাকায়।
তাদের মধ্যে কোনো ব্যাখ্যা নেই।
কারণ যে ভালোবাসা নিঃশব্দ, তার ব্যাখ্যা শব্দে সম্ভব নয়।
দূরত্বের মধ্যে মিলনের সৌন্দর্য।
হাত না ছোঁয়া, দাবি না করা, বোঝাপড়া, নীরবতা—সব মিলিয়ে অনুভূতির পূর্ণতা।
রাত্রি নেমে আসে।
নদীর তীরে তারা হাঁটছে।
রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের আলো ভেসে আসে।
নীলা হঠাৎ বলে,
—“তুমি কি বুঝতে পারছো, এই নীরবতা কত গভীর?”
রবি ধীরে হেসে উত্তর দেয়—
—“হ্যাঁ। এটাই আমাদের মিলন। ছোঁয়া নয়, দূরত্ব।”
পাহাড় থেকে ফেরার পথে, শহরের ছোট্ট পথ ধরে হাঁটছে।
চুপচাপ।
কেউ কিছু বলছে না।
তবু বোঝাপড়া।
হৃদয়ের টান।
দূরত্বের মধ্যে মিলনের অনুভূতি।
রাত্রি নেমেছে।
শহরের ল্যাম্পপোস্ট জ্বলে।
নীলা আর রবি বসে আছে বারান্দায়।
চায়ের কাপ, ঠান্ডা বাতাস, দূরের শব্দ—সব মিলিয়ে নীরবতার আবরণ।
তাদের সংযোগ অদৃশ্য, কিন্তু স্পষ্ট।
নীরব আড্ডার মধ্যে আত্মার মিলন।
চোখে চোখে বোঝাপড়া।
হৃদয়ের নীরব স্পর্শ।
দূরত্বই তাদের ভালোবাসার সুর।
স্পর্শ না করলেও, দাবি না করলেও, মিলন পরিপূর্ণ।
রাত্রে তারা আলাদা ঘরে ঘুমায়।
চুপচাপ।
কিন্তু অনুভূতি ভরে আছে।
হৃদয়ের টান, চোখের খেলা, নীরবতা—সব মিলিয়ে চিরস্থায়ী ভালোবাসা।
নীলা হঠাৎ স্মরণ করে অতীতের সব ব্যথা।
রবিও মনে রাখে হারানো মুহূর্ত।
শিখেছে—যদি খুব কাছে আনা হয়, মুহূর্ত নষ্ট হয়।
শুধু পাশে থাকা, দূরে থাকা—এই নীরবতা যথেষ্ট।
চুপচাপ, হাওয়ায় ভেসে আসে নীরবতা।
রবি হঠাৎ বলে—
—“সব চাওয়ার বাইরে ভালোবাসা সর্বাপেক্ষা নিখুঁত।”
নীলা চোখে হাসি, মাথা নেড়ে বোঝায়—“হ্যাঁ, নিঃশব্দ ভালোবাসা।”
শহরের আলো, দূরের শব্দ, বারান্দার বাতাস—সব মিলিয়ে নীরবতার গভীরতা।
দূরত্ব, নিঃশব্দ বোঝাপড়া, চোখের খেলা—সব মিলিয়ে সম্পর্ককে চিরস্থায়ী করে।
স্পর্শ না করার মধ্যেও হৃদয় স্পর্শহীনভাবে মিলিত।
এই আড্ডা শিখিয়েছে—নীরবতা, অসমাপ্ত ইচ্ছা, চোখের খেলা, দূরত্ব—সব মিলিয়ে ভালোবাসার পূর্ণতা।
হৃদয়ের টান, চোখের ভাষা, নিঃশব্দ মিলন—সব মিলিয়ে চিরস্থায়ী।